শনিবার, ১৮ নভেম্বর, ২০১৭

উস্কানির জন্য প্রথয় দায়ী কে ?

মানববন্ধন  বলতে আমরা বুঝি অহিংস প্রতিবাদ। কিন্তু সেই অহিংস প্রতিবাদের মধ্যে যারা ত্রিশূল অস্ত্র নিয়ে আসে, তখন বুঝতে হবে তারা আসলে অহিংসা চায় না, চায় হিংসা।

ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন, রংপুরের ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধনের সময়ে হাতে ত্রিশূল নিয়ে এসেছে হিন্দু সম্প্রদায় ((http://bit.ly/2zRV6g6, http://archive.is/EbhE1)।  শুধু এবারই নয়, বিভিন্ন সময় ত্রিশূল হাতে হিন্দু সংগঠনের নেতারা ফেসবুকে ছবি আপলোড করে (http://bit.ly/2zd8j66), অনেকে তো ঘরে ঘরে ত্রিশূল মজুদ করতে এবং মুসলমান আসলে তাদের প্রদর্শণ করতে পরামর্শ দেয় (http://bit.ly/2yOKk9x)।

ছবিতে আরো দেখতে পাচ্ছেন, অপরাধী ও উস্কানিদাতা টিটুকে নির্দোষ দাবি করে হিন্দু সংগঠনগুলো তার মুক্তি চাচ্ছে। এ ধরনের দাবি হলে বুঝতে হবে ঐ উস্কানিদাতা আসলে তাদেরই সদস্য এবং তাদের এজেন্ডা অনুসারেই এ ধর্ম অবমাননা করেছে।

অনেকে হয়ত হিন্দুদের সাথে মুসলমানদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা বলেন। কিন্তু হিন্দুদের আচরণ কখনই বলে না, তারা বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি চায়। বরং তারা কোন বিদেশী গোষ্ঠী দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টা করছে। অন্তত তাদের আচার-আচরণ সেটাই নির্দেশ করে।

অনেক সেক্যুলার হয়ত বাংলাদেশের হিন্দুদের ইনোসেন্ট বানাতে চাইবে। হয়ত বলবে  ভারতে তারা সাম্প্রদায়িক উস্কানি দেয় এটা ঠিক, কিন্তু বাংলাদেশে তারা ইনোসেন্ট। কিন্তু আপনি যাই বলেন- বাংলাদেশের হিন্দু নেতারা নিয়মিত ভারতীয় সেসব উগ্রবাদী নেতাদের সাথে মেশামেশি করছে। বাংলাদেশীরা ভারতে যাচ্ছে, ভারতীয়রা বাংলাদেশে আসছে। (http://bit.ly/2Aa7qLJ) ভারতে সাম্প্রদায়িক উস্কানি হচ্ছে, কিন্তু বাংলাদেশে ওদের বন্ধুরা দিবে না, এটা তো হতে পারে না।

আমার মনে হয়, বাংলাদেশের মুসলমানদের হিন্দু সম্প্রদায় নিয়ে নতুন করে ভাববার সময় এসেছে।  ৪৭ এ পূর্ব পাকিস্তান তৈরী হয়েছিলো শুধু মুসলমান সম্প্রদায়ের জন্য। কিন্তু সে সময় কিছু শূদ্র শ্রেণীকে রাখা হয়েছিলো রাস্তাঘাট-টয়লেট পরিস্কার আর মর্গের লাশ কাটার জন্য। ইতিহাস বলে, মুসলমানদের শেষ নবী বিদায় বেলায় বলে গিয়েছিলেন, মূর্তি ও অগ্নিপূজকদের যেন আরব থেকে বের করে দেয়া হয়। নবীর সেই শেষ আদেশ পালন করেছিলো মুসলমানদের দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমর। তিনি সবাইকে বের করে দিলেও আবু লুলু নামক  এক মূর্তিপূজককে রেখেছিলেন তার অস্ত্র তৈরীর জন্য। কিন্তু অতি দুঃখের বিষয়, ঐ আবু লুলু-ই শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় খলিফাকে হত্যা করে।  ইতিহাস পূনরাবৃত্তি হবে এটাই স্বাভাবিক, কিন্তু মুসলমানরা সেটা থেকে শিক্ষা নেবে কি না, সেটা কথা।

=========

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন