শনিবার, ২১ মে, ২০২২

ক্যাপ্টেন কক্স সাহেবের বাংলো 

হিরাম কক্সের বাংলো এটি। ছবি: প্রথম আলো

 আপনি কি ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের অফিসেরচর গ্রামে যাবেন? তাহলে কক্সবাজারের রামু উপজেলার চৌমুহনী স্টেশন থেকে দক্ষিণ দিকে দুই কিলোমিটার পথ পার হলেই সেই গ্রাম পেয়ে যাবেন। কেউ যদি জানতে চায়, তাহলে বলবেন, টিনের একটি বাংলোবাড়িতে যেতে চান। যারা জানে না, তাদের কাছে খোলাসা করে বলতে পারেন, বাড়িটি ইংরেজ ক্যাপ্টেন ‘হিরাম কক্স’-এর বাংলোবাড়ি। তারপর বেশ রহস্যময় ভঙ্গিতে ফিসফিস করে বলতে পারেন, ‘বাড়িটির বয়স এখন ২২০ বছর।’ হ্যাঁ, আমরা সেই হিরাম কক্সের কথাই বলছি, যাঁর নামে এখন এই কক্সবাজার জেলা।

১৭৮৪ সালের দিকে আরাকান দখল করে নিয়েছিলেন বার্মার রাজা বোধাপায়া। রাজার আক্রমণ থেকে বাঁচতে প্রায় ১৩ হাজার আরাকানি এদিকে চলে আসে, আশ্রয় নেয় পালংকীতে। বলে রাখি, কক্সবাজারের প্রাচীন নাম কিন্তু পালংকী। সমুদ্র ও জঙ্গলঘেরা পালংকীতে আশ্রিত লোকজনকে পুনর্বাসনের জন্য ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ক্যাপ্টেন হিরাম কক্সকে সেখানে নিয়োগ দিয়েছিল। হিরাম কক্স পালংকী এলাকায় প্রতিষ্ঠা করেন একটি বাজার। প্রথম প্রথম এ বাজার ‘কক্স সাহেবের বাজার’ নামে পরিচিত ছিল। পর্যায়ক্রমে ‘কক্স-বাজার’ এবং ‘কক্সবাজার’ নামের উৎপত্তি ঘটে। জায়গাটি ‘প্যানোয়া’ নামেও পরিচিত। ‘প্যানোয়া’ শব্দের অর্থ ‘হলুদ ফুল’। তখন কক্সবাজার হলুদ ফুলের রাজ্য ছিল।

১৭৮৪ সালের দিকে আরাকান দখল করে নিয়েছিলেন বার্মার রাজা বোধাপায়া। রাজার আক্রমণ থেকে বাঁচতে প্রায় ১৩ হাজার আরাকানি এদিকে চলে আসে, আশ্রয় নেয় পালংকীতে। বলে রাখি, কক্সবাজারের প্রাচীন নাম কিন্তু পালংকী। সমুদ্র ও জঙ্গলঘেরা পালংকীতে আশ্রিত লোকজনকে পুনর্বাসনের জন্য ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ক্যাপ্টেন হিরাম কক্সকে সেখানে নিয়োগ দিয়েছিল। হিরাম কক্স পালংকী এলাকায় প্রতিষ্ঠা করেন একটি বাজার। প্রথম প্রথম এ বাজার ‘কক্স সাহেবের বাজার’ নামে পরিচিত ছিল। পর্যায়ক্রমে ‘কক্স-বাজার’ এবং ‘কক্সবাজার’ নামের উৎপত্তি ঘটে। জায়গাটি ‘প্যানোয়া’ নামেও পরিচিত। ‘প্যানোয়া’ শব্দের অর্থ ‘হলুদ ফুল’। তখন কক্সবাজার হলুদ ফুলের রাজ্য ছিল।

হিরাম কক্স তো দায়িত্ব নিয়েছিলেন শরণার্থী পুনর্বাসনের। কিন্তু তাঁকে তো রাত যাপন করতে হবে, করতে হবে দাপ্তরিক কাজ! এ জন্যই রামুতে নির্মিত হয় এই বাংলোবাড়ি। ১৭৯৯ সালে বাংলোবাড়িতে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ক্যাপ্টেন কক্সের মৃত্যু হয়। তাঁর মরদেহ নেওয়ার জন্য চকরিয়ার মেধাকচ্ছপিয়া এলাকার বড়খালে জাহাজ নিয়ে এসেছিলেন কক্স সাহেবের স্ত্রী ম্যাডাম কক্স পিয়ার। ‘ম্যাডাম কক্স পিয়ার’ লোকমুখে হয়ে যায় ‘মেধাকচ্ছপিয়া’। এখন মেধাকচ্ছপিয়া দেশের অন্যতম জাতীয় উদ্যান।

কক্সবাজার শহর থেকে রামুর ক্যাপ্টেন হিরাম কক্সের বাংলোবাড়ির দূরত্ব প্রায় ২৫ কিলোমিটার। এখানে পেয়ে যাবেন ৫৫ বছর বয়সী বদিউজ্জামানকে। ৩০ বছর ধরে তিনি এই বাংলো পাহারা দিচ্ছেন। তাঁর সঙ্গে যখন বাংলোর চারধারে বেড়াতে বের হবেন, তখন বিস্মিত হবেন জেনে যে এই বাড়িই ২২০ বছর আগে তৈরি ক্যাপ্টেন হিরাম কক্সের বাংলোবাড়ি, তা অনেকেই জানে না। এবার নিবিড়ভাবে লক্ষ করলে দেখবেন, এই বাড়ির সঙ্গে যে এ রকম ঐতিহাসিক ঘটনার সংযোগ আছে, সেটা মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য কোনো স্মৃতিফলক নেই। বাংলোটি ‘জেলা পরিষদ বাংলো’ নামে অধিক পরিচিত। দুই ঘরের এই বাংলোতে আছে ব্রিটিশ আমলের একটি খাট, চেয়ার-টেবিল। এই বাংলোয় কেউ রাত যাপন করতে চাইলে সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য প্রতি রাতের জন্য ২০০ টাকা, পর্যটকদের জন্য ৪০০ টাকা দিতে হয়।

বেসরকারি নাগরিক সংগঠন ‘সিভিল সোসাইটিজ ফোরাম-কক্সবাজার’–এর সভাপতি ফজলুল কাদের চৌধুরীর সঙ্গে যদি দেখা হয় আপনার, দেখবেন তিনি দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলছেন, ‘২২০ বছরের পুরোনো ঐতিহাসিক বাংলোটি অযত্ন–অবহেলায় পড়ে আছে। বাংলোর ছাউনি পরিবর্তন ছাড়া এ পর্যন্ত ঘরের সংস্কার হয়নি। টাঙানো নেই হিরাম কক্সকে নিয়ে কোনো সাইনবোর্ড কিংবা স্মৃতিফলক। বাংলোটি ‘হিরাম কক্স–এর বাংলোবাড়ি’ হিসেবে খ্যাত হলে রামুর পর্যটনে যোগ হবে নতুন মাত্রা।’

শনিবার, ২ নভেম্বর, ২০১৯

অধ্যক্ষকে পুকুরে ডুবালো রাজশাহী পলিটেকনিক ছাত্রলীগ

রাজশাহী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দীন আহম্মেদকে পুকুরে ডুবালো ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে নিজ কার্যালয়ে যাওয়ার সময় কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী তাকে ধরে নিয়ে ১২ থেকে ১৫ ফুট গভীরের পুকুরের পানিতে ফেলে দেয়। তবে সাঁতার জানার কারণে তিনি রক্ষা পান বলে জানিয়েছেন অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দীন আহম্মেদ। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন সময় ছাত্রলীগের ছেলেরা অন্যায় দাবি নিয়ে আসতো আমার কাছে। সে সব দাবি না মানায় তারা আমার উপর ক্ষুদ্ধ ছিল। তাদের দাবিগুলো মানার মত থাকে না।

ক্লাশে উপস্থিতি কম থাকায় দুইজন ছাত্রের ফরম পুরণ হয়নি। ওই দুই ছাত্রের ফরম পুরণ করানোর জন্য সকালে কয়েকজন আমার কাছে এসেছিল। কিন্তু আমি বিভাগীয় প্রধানের কাছে যেতে বলি।

এ সময় তারা আমাকে নিয়ে আমার সামনে অশালীন মন্তব্য করে। এতে আমি তাদের উপর ক্ষুদ্ধ হয়ে কয়েকটি কথা বলি। এর পর তারা আমার উপর ক্ষুদ্ধ হয়ে বের হয়ে যায়। পরে দুপুরে নামাজ পড়ে অফিসে যাওয়ার সময় কামাল হোসেন সৌরব আমার পথ আটকে দাঁড়িয়ে বলে স্যার কথা আছে। একটু পুকুরের ধারের দিকে আসেন। আমি যেতে না চাইলে তারা আমাকে তুলে নিয়ে গিয়ে পুকুরে ফেলে দেয়। এরপর তারা পালিয়ে যায়। তাদের মধ্যে দুই জনের মুখ বাধা ছিল।’ অধ্যক্ষ বলেন, যেখানে আমাকে ফেলে দিয়েছে সখানকার পানির গভীরতা ছিল ১২ থেকে ১৫ ফুট। আমি সাঁতার জানতাম বলে বেঁচে গেছি। সাঁতার কেটে পাড়ে চলে এসেছি। সাঁতার না জানলে হয়তো আজই শেষ হয়ে যেতাম। 

চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ গোলাম মোস্তাফা বলেন, খবর পেয়ে পলিটেকনিকে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠানো হয়। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। সিসিটিভির ভিডিও দেখে দোষিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি। 

সোমবার, ২৮ অক্টোবর, ২০১৯

ডার্ক রেস্টুরেন্টের নামে সেক্স রেস্টুরেন্ট চট্টগ্রামে

চট্রগ্রামে ডার্ক রেস্টুরেন্ট নামে কিছু জায়গা আছে, যেখানে স্কুল কলেজের বাচ্চা ছেলে-মেয়েরা গিয়ে সেক্স করে। কিস বা হাগ না, ডাইরেক্ট সেক্স। যারা করে তাদের বেশিরভাগ ভার্সিটি লেভেলেও যায়নি, স্কুল-কলেজের ছাত্রী। এরা হিজাব পড়ে ঢুকে, সেক্স করে বেরোয়।

কিছুদিন আগে আমি এটা জেনে অবাক হই। ৪ দিন আগে প্রথমবারের মত কিছু রেস্টুরেন্টে নিজের চোখে প্রমাণ দেখে আসি। অনেক স্কুল পড়ুয়া মেয়েদের সরাসরি সেক্স করা অবস্থায় পাই। বয়স্ক লোকের সাথে সেক্স করতে দেখে মহসিন কলেজের একটা মেয়ের বাসায় কল করে তার আম্মুকে সাবধান করে দেই। পরে এই ঘটনা বন্ধ করার জন্যে উচ্চপদস্থ একজন পুলিশের সাথেও যোগাযোগ করি।

গতকাল যা ঘটেছিল, কোন প্ল্যান ছাড়াই।
বের হয়েছিলাম, নিউ মার্কেট যাবো। হঠাৎ ছোট্ট একটা মেয়েকে হিজাব নিকাব পড়া অবস্থায় সেই ডার্ক রেস্টুরেন্টের সামনে দেখি। আমার সাথে থাকা বন্ধুটি বলে, এই মেয়ে সেক্স করতে আসছে। আমি বিশ্বাসই করি নাই।

আমি বলিঃ এত ছোট একটা মেয়ে! হিজাব-নিকাব পড়া, এগুলা করবে না।
কিন্ত একটু পর যখন দেখি মেয়েটা আসলেই একটা ছেলের সাথে সেখানে যাচ্ছে আমার বন্ধুটি হঠাৎ রাগ সামলাতে না পেরে বাধা দিতে যায়। ২টা রেস্টুরেন্টের মধ্যে কমপক্ষে ১০ জোড়া ছাত্র-ছাত্রীকে সেক্স করা অবস্থায় পাই আমরা। সম্পুর্ন বিবস্ত্র, পাশে বোরকা-হিজাব। নীচে পড়ে আছে কন্ডম। অন্ধকার জায়গায় চারিদিক ঘেরা দিয়ে ছোট ছোট স্পেসে অপেন সেক্সের ব্যবসা চলছে। এগুলা আবাসিক হোটেল না, রেস্টুরেন্টের নামে তরুণ প্রজন্মকে সহজে সেক্সে উৎসাহিত করার কৌশল। অথচ, এই সমাজেই আপনাদের ছোট বোনরাও থাকে। কোচিং ফাকি দিয়ে প্রেম না, ডাইরেক্ট সেক্স করতে চলে আসে!

এরপরেই আমরা বাধার সম্মুখীন হই। নীচে মানুষ জমে গেছে, বোরকা পড়া মেয়েরা পালাচ্ছে। পুলিশকে ডেকে ঘটনা জানাই। পুলিশ মাত্র ১ জন। হঠাৎ কিছু বুঝার আগেই ডার্ক রেস্টুরেন্টের কর্মচারীরা ৪/৫ জন এক হয়ে মারতে শুরু করে আমাদের। আমাদের চোর, চাদাবাজ বলে মারতেছে, সাধারণ মানুষ কিছু বাধা দিলেও পেটে বুকে প্রচন্ড ঘুষি খাই। আমার বন্ধুটি দোকানে ঢুকে যায়। সাথে সাথে কলাপসিবল গেট আটকে দেয় অন্যরা। এরমধ্যে ডার্ক রেস্টুরেন্টকে শেল্টার দেয়া কিছু সন্ত্রাসী এক হয়ে গণধোলাইয়ের আয়োজন করে ফেলছিল। আমি একা হয়ে যাই। বারবার পুলিশের সামনেই আমাকে ছিনিয়ে নিয়ে মারার চেষ্টা করে তারা। এরপর থানার ওসি চলে আসে এবং আল্লাহর রহমতে অল্পের জন্যে প্রাণে বেচে যাই। আমাকে পুলিশের গাড়িতে করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। আশেপাশে বহু সাধারণ মানুষ ছিল, কেউ কিছু বলেনি। হয়তো সন্ত্রাসীদের ভয়েই। এভাবেই তো চলছে দেশ..

থানায় নেয়ার পর শুরু হয় অন্য রাজনীতি। আমাকে চিনে যায় অনেকে। কোটা সংস্কার আন্দোলন করেছিস বলে গালাগালি শুরু হয়। খবর পেয়ে বিভিন্ন গ্রুপ চলে আসে৷ তাদের অনেকদিনের ক্ষোভ আমার উপর। মানুষের ঘৃণ্য রুপ দেখে বাকরুদ্ধ হই, সেসব প্রকাশ করারও রুচি নাই। নির্দোষ জেনেও সবাই একসাথে গালি দিচ্ছে। “কোটা আন্দোলন করিস, তোকে তো থানায় না এনে পিটিয়ে মেরে ফেলা উচিত ছিল।”  আমি একা আর সবাই মিলে আমাকে ফাসানোর অনেক চেষ্টা করে৷

IIUC ছাত্রলীগের নাম বেচা গুন্ডাগুলা এই সুযোগ কেন ছাড়বে? তারা তাদের পেইজে অপপ্রচার চালায়, “ডিবি পরিচয়ে চাদাবাজি করার সময় কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা মুনতাসির গ্রেফতার!”
দ্রুত তারা থানায় চলে আসে। ঘৃণ্য অনেক খেলা চলে সেখানে। আমার জন্যে যারা গিয়েছিল তাদেরকে মেরে তাড়িয়ে দেয় ছাত্রলীগের পোলাপান। চট্রগ্রামের কোটা সংস্কার আন্দোলনের অনেকের মোবাইল চেক করে, গালি দিয়ে থানার সামনে থেকে সরিয়ে দেয় আমার ক্যাম্পাসের কথিত ছাত্রলীগ নেতারা। কিন্ত কেন ??
তারা নাকি আমাকে বাচাতে আসছে! আমি যেখানে কোন অপরাধই করি নাই, সেখানে তারা কিভাবে বাচাবে আর ১ জন চাদাবাজকে বাচাতে আসার কি কারণ থাকতে পারে, যার বিরুদ্ধে একটু আগেই তারা পোস্ট দিছে! যদিও সেই পোস্ট পরে ডিলেট করে দেয়। সেই গল্প পরের পর্বে আসছে..


উল্লেখ্য, এটি জনপ্রিয় ইউটিবার মুনতাসির মাহমুদ এর ফেইসবুক পেইজ থেকে নওয়া, পরবর্তী পর্ব আসছে,,,,  

স্ত্রী সন্তান নিয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ পলাশের।


লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে স্ত্রী ও ৩ ছেলে-মেয়েকে নিয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন পলাশ কুরি (৩২)। পলাশের বর্তমান নাম আবদুর রহমান। তিনি উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়নের শ্রীরামপুর বাড়ির বাসিন্দা। স্বপরিবারে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করায় তাদের জন্য উপজেলার বিভিন্ন মসজিদে দোয়া করা হয়। আবদুর রহমান স্বপরিবারে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করায় উপজেলার পদ্মা ইলেক্ট্রনিক্সের মালিক আনোয়ার তাদের থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এছাড়া রামগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জহির উদ্দিন জীবকা অর্জনের জন্য আবদুর রহমানকে একটি ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) লক্ষ্মীপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এফিডেভিটের মাধ্যমে পলাশ স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। ইসলাম গ্রহণকারী বাকিরা হলেন- পলাশের স্ত্রী শিখা রানী কুরি, মেয়ে অন্বেষা রানী কুরি, উর্সি রানী কুরি ও ছেলে আবির চন্দ্র কুরি। ধর্ম পরিবর্তন হওয়ার পরে তাদের বর্তমান নাম হচ্ছে আবদুর রহমান, তার স্ত্রী সুমাইয়া বেগম, মেয়ে আয়েশা আক্তার, খাদিজা আক্তার ও ছেলে মো. ইব্রাহিম। জানতে চাইলে আবদুর রহমান জানান, বুঝ-জ্ঞান হওয়ার পর থেকেই ইসলাম ধর্মের প্রতি তিনি দুর্বল ছিলেন। বিয়ে করে সংসার জীবন ভালোই চলছে। তার সংসারে দুই-মেয়ে ও এক ছেলে আছে। সম্প্রতি তিনি তার ইসলাম ধর্ম গ্রহণের ইচ্ছাটি স্ত্রীকে জানান। বিষয়টি জানার পর তার স্ত্রী তাকে অনুপ্রাণিত করেন। এরপর তিনি অনেকদিন ধরে মুসলমানদের রীতিনীতি পর্যালোচনা করেছেন। মহান আল্লাহ এবং সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ) এর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছেন। সেই বিশ্বাস থেকেই গত বৃহস্পতিবার তিনি স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।

এ ব্যাপারে রামগঞ্জ উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদ উল্যাহ জানান, কিছুদিন আগে আবদুর রহমান ইসলাম ধর্মের বিষয়টি তাকে জানান। বিষয়টি শুনে তিনি আবদুর রহমানকে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেন। তিনি স্বপরিবারে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। তার ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়াসহ সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।

রবিবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৮

বোন তুমার জন্য !

তুমি কি নিশ্চিত-

হে বোন যে বিয়ের আগে তোমার সাথে প্রেমে লিপ্ত হয়, সে কি বিয়ের পর আবার ও অন্য কোনো পর নারীর প্রেমে পড়বে না?
হে বোন যে তোমার রূপ দেখে বিয়ের আগে দৃষ্টি সংযত করে রাখতে পারেনি, সে কি বিয়ের পর তোমার চেয়ে রূপবতী অন্য নারীর রূপ দেখে দৃষ্টি সংযত রাখতে পারবে?
হে বোন যে বিয়ের আগেই তোমাকে স্পর্শ করতে পারে, সে কি বিয়ের পর পর নারীকে স্পর্শ করতে করবে না?
হে বোন যে তার পিতা-মাতার চোখকে ফাকি দিয়ে রাতের পর রাত তোমার সাথে কথা বলতে পারে, সে কি বিয়ের পর তোমার চোখ ফাকি দিয়ে অন্য নারীর সাথে কথা বলবে না?
হে বোন যে কলেজ ফাকি দিয়ে দিনের পর দিন তোমার সাথে লেখতে পারে বসে থাকতে পারে, সে কি বিয়ের পর তোমাকে ফাকি দিয়ে পর নারীর সাথে তা করতে পারবে না?
হে বোন যে তোমাকে পেয়ে নিজের সৃষ্টিকর্তা পালনকর্তা, রবকে ভুলে যায়; সে কি করে বিয়ের পর তোমার মত সামান্য সৃষ্টিকে ভুলে যাবে না তোমার চেয়ে সুন্দরীর রূপ দেখে?
তুমি কিভাবে নিশ্চিত হলে? কিভাবে? মনে রেখো “যদি সে সত্যিই তোমাকে মনে প্রাণে ভালোবেসে থাকত”-
তাহলে আল্লাহর ভয়ে সে নিজের মনকে সংযত রাখত, অতঃপর বিয়ের পরেই তোমাকে প্রেমের আবেদন করত;
তাহলে আল্লাহর ভয়ে সে দৃষ্টি সংযত রাখত, অতঃপর তোমাকে বিয়ের পরেই প্রাণ ভরে দেখত;
তাহলে আল্লাহর ভয়ে নিজের হাতকে সংযত রাখত, অতঃপর তোমাকে বিয়ের পরেই স্পর্শ করত;.................
“যখন কোন ছেলে এবং মেয়ে মেলামেশা করে, তখন তা হয় আগুন এবং কাঠ সংস্পর্শে রাখার মতন।" - ইবনে তাইমিয়্যাহ
হে প্রেমিক প্রেমিকারা,
এখনও যদি তোমার চোখ না খুলে তাহলে মনে রেখ- বিয়ের আগে তুমিই হচ্ছ তোমার কাঠুরের একটি সুন্দর ‪#‎কাঠ‬, যা বিয়ের পর একদিন না একদিন তার হাত দ্বারাই জ্বলন্ত ‪#‎আগুনে‬ নিক্ষিপ্ত হবে, অতঃপর সেই আগুনের সংস্পর্শে কালো ‪#‎কয়লায়‬ পরিণত হবে !

রবিবার, ১১ নভেম্বর, ২০১৮

অনলাইন ইনকাম

যারা ইনকাম করতে চান তাদের জন্য ভালো একটা সাইট।
মাইনিং সাইট কাজ করতে চাইলে এখনি একটা একাউন্ট খুলে নিন, যাদের আছে তারা শুধু একটা ইউটিউব কিংবা ব্লগে একটি পোস্ট করে জিতে নিন ২০০ ডগকয়েন। সীমিত অফার,,,  তাই যাদের একাউন্ট নেই তারা দ্রুত একাউন্ট করুন।  আর আপনার বন্ধুদের সাথে এটি শেয়ার করুন। এটা খুব ভালো মাইনিং সাইট।  পেমেন্ট ১০০% পাবেন আমি গ্যারান্টি দিলাম। যাদের একাউন্ট নেই তারা নিচের লিংকে গিয়ে একাউন্ট খুলে নিন।

https://dogeworker.io/?p=112604

যথাযথ ভাবে ফরমটি পূরণ করুন। আর সাথে সাথে পেয়ে যান আনলিমিটেড ডগি। ধন্যবাদ সবাইকে।।।

ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করবেন।।

সোমবার, ২২ অক্টোবর, ২০১৮

Online Income easy

##Pivot এপ্সটি দিয়ে প্রতিদিন 5 থেকে 20$ ডলার Bitcoin ইনকাম করুন সহজেই.
মাত্র ২ দিন হলো luch হয়ছে।
No investment need
.
প্রথমে নিচের লিংকে যান https://www.pivot.one/share/post/5bcc1d8b968d9e2574f984e9?uid=5ba663026c20cd70ddc0c288&invite_code=HVEVTU
#This app is verified by google play
উপরে লিংকে যাওয়ার পর Log In নামের দুইটা Option পাবেন একটা Facebook এর লোগো + Log in লেখা আরেকটি Google এর লোগো + Log in আপনি যে কোন একটি ক্লিক করুন, ধরুন আপনি Google দিয়ে একাউন্ট করবেন আপনি Google লোগোর সাথে লেখা Log in তে ক্লিক তারপর আপনার লগিন করা জিমেইল অ্যাকাউন্ট গুলা দেখতে পাবেন আপনি যে কোন একটি তে ক্লিক করুন আপনার একাউন্ট তৈরি হয়ে গেলো.
.
আপনি এপ্সটি ডাউনলোড করে, এপ্সটি ওপেন করুন তারপর Login তে ক্লিক করুন, তারপর ঐ এককই নিয়মে লগইন করুন
.
যে ভাবে এই এপ্সটি থেকে ইনকাম করবেন আপনি ওটা তে প্রতিদিন লগিন করলে 500 Powar পাবেন
নিউজ পড়লে 200 Powar পাবেন.
আপনার রেফারেল তে কাউকে জয়েন করালে 10000 Powar পাবেন.

সোমবার, ১ অক্টোবর, ২০১৮

সবার প্রিয় মাশরাফি

একজন মানুষ ১৬ বছর ধরে
ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট খেলছে,
একটা নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ নাই !
একটা দর্শক পিটানোর অভিযোগ নাই !
দর্শককে গালি দেয়ার অভিযোগ নাই !
কারন,মাশরাফি একজনই !
বাংলাদেশের ইতিহাসে আরেককটা মাশরাফি আসবেনা,
লিজেন্ডরা বার বার জন্ম নেয় না,
একবারই আসে!

রবিবার, ২২ এপ্রিল, ২০১৮

বাবার জন্য যখন অসহায় মেয়ে

ছবি দেখলে সত্যি কষ্ট লাগে। মানুষ মানুষের জন্য, আর সমাজের বড়লোক গুলো অসহায়দের দিকে ফিরেও থাকান না।  তবে কি তারা অল্প আধটু চিকিৎসার জন্য আপনজন হারাতে বসবে। দেখুন কতো নিষ্পাপ এ মেয়েটি, পারবে কি তার বাবাকে বাচাতে?? আসুন, সবাই তার জন্য দোয়া করি।। 

আল্লাহ তাকে সুস্থতা দান করুন, আমিন।

সোমবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৭

নামাজের অবিশ্বাস্য ১১টি উপকারিতা

পড়ুন,,,,,,
.
১-নামাজে যখন সিজদা করা হয় তখন আমাদের                মস্তিস্কে রক্ত দ্রুত প্রবাহিত হয়। ফলে আমাদের স্মৃতি            শক্তি অনেক বৃদ্ধি পায় !
২-নামাজের যখন আমরা দাড়াই তখন আমাদের চোখ জায় নামাজের সামনের ঠিক একটি কেন্দ্রে স্থির অবস্থানে থাকে ফলে মন বৃদ্ধি পায়।
৩-নামাজের মাধ্যমে আমাদের শরীরের একটি ব্যায়াম সাধিত হয়। এটি এমন একটি ব্যায়াম যা ছোটবড় সবাই করতে পারে।
৪-নামাজের মাধ্যমে আমাদের মনের অসাধারন পরিবর্তন আসে।
৫-নামাজ সকল মানুষের দেহের কাঠামো বজায় রাখে। ফলে শারীরিক বিকলঙ্গতা লোপ পায়।
৬-নামাজ মানুষের ত্বক পরিষ্কার রাখে যেমন ওজুর সময় আমাদের দেহের মূল্যবান অংশ গুলো পরিষ্কার করা হয় এর ফলে বিভিন্ন প্রকার জীবানু হতে আমরা সুরক্ষিত থাকি।
৭- নামাজে ওজুর সময় মুখমন্ডল ৩বার ধৌত করার ফলে আমাদের মুখের ত্বক উজ্জল হয় এবং মুখের দাগ কম দেখা যায়।
৮-ওজুর সময় মুখমন্ডল যেভাবে পরিস্কার করা হয় তাতে আমাদের মুখে এক প্রকার মেসেস তৈরি হয় ফলে আমাদের মুখের রক্ত প্রবাহবৃদ্ধি পায় এবং বলিরেখা কমে যায়
৯-কিশোর বয়সে নামাজ আদায় করলে মন পবিত্র থাকে এর ফলে নানা প্রকার অসামাজিক কাজ থেকে সে বিরত থাকে।
১০- নামাজ আদায় করলে মানুষের জীবনি
     শক্তি বৃদ্ধি পায়
১১-কেবল মাত্র নামাজের মাধ্যমেই চোখের নিয়ম মত যত্ন নেওয়া হয় ফলে অধিকাংশ নামাজ আদায় কারী মানুষের দৃষ্টি শক্তি বজায় থাকে।

আসুন নিজে নামাজ পড়ি, সাথে অপরজনে
নামাজ পড়তে উৎসাহিত করি।

শনিবার, ১৮ নভেম্বর, ২০১৭

উস্কানির জন্য প্রথয় দায়ী কে ?

মানববন্ধন  বলতে আমরা বুঝি অহিংস প্রতিবাদ। কিন্তু সেই অহিংস প্রতিবাদের মধ্যে যারা ত্রিশূল অস্ত্র নিয়ে আসে, তখন বুঝতে হবে তারা আসলে অহিংসা চায় না, চায় হিংসা।

ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন, রংপুরের ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধনের সময়ে হাতে ত্রিশূল নিয়ে এসেছে হিন্দু সম্প্রদায় ((http://bit.ly/2zRV6g6, http://archive.is/EbhE1)।  শুধু এবারই নয়, বিভিন্ন সময় ত্রিশূল হাতে হিন্দু সংগঠনের নেতারা ফেসবুকে ছবি আপলোড করে (http://bit.ly/2zd8j66), অনেকে তো ঘরে ঘরে ত্রিশূল মজুদ করতে এবং মুসলমান আসলে তাদের প্রদর্শণ করতে পরামর্শ দেয় (http://bit.ly/2yOKk9x)।

ছবিতে আরো দেখতে পাচ্ছেন, অপরাধী ও উস্কানিদাতা টিটুকে নির্দোষ দাবি করে হিন্দু সংগঠনগুলো তার মুক্তি চাচ্ছে। এ ধরনের দাবি হলে বুঝতে হবে ঐ উস্কানিদাতা আসলে তাদেরই সদস্য এবং তাদের এজেন্ডা অনুসারেই এ ধর্ম অবমাননা করেছে।

অনেকে হয়ত হিন্দুদের সাথে মুসলমানদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা বলেন। কিন্তু হিন্দুদের আচরণ কখনই বলে না, তারা বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি চায়। বরং তারা কোন বিদেশী গোষ্ঠী দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টা করছে। অন্তত তাদের আচার-আচরণ সেটাই নির্দেশ করে।

অনেক সেক্যুলার হয়ত বাংলাদেশের হিন্দুদের ইনোসেন্ট বানাতে চাইবে। হয়ত বলবে  ভারতে তারা সাম্প্রদায়িক উস্কানি দেয় এটা ঠিক, কিন্তু বাংলাদেশে তারা ইনোসেন্ট। কিন্তু আপনি যাই বলেন- বাংলাদেশের হিন্দু নেতারা নিয়মিত ভারতীয় সেসব উগ্রবাদী নেতাদের সাথে মেশামেশি করছে। বাংলাদেশীরা ভারতে যাচ্ছে, ভারতীয়রা বাংলাদেশে আসছে। (http://bit.ly/2Aa7qLJ) ভারতে সাম্প্রদায়িক উস্কানি হচ্ছে, কিন্তু বাংলাদেশে ওদের বন্ধুরা দিবে না, এটা তো হতে পারে না।

আমার মনে হয়, বাংলাদেশের মুসলমানদের হিন্দু সম্প্রদায় নিয়ে নতুন করে ভাববার সময় এসেছে।  ৪৭ এ পূর্ব পাকিস্তান তৈরী হয়েছিলো শুধু মুসলমান সম্প্রদায়ের জন্য। কিন্তু সে সময় কিছু শূদ্র শ্রেণীকে রাখা হয়েছিলো রাস্তাঘাট-টয়লেট পরিস্কার আর মর্গের লাশ কাটার জন্য। ইতিহাস বলে, মুসলমানদের শেষ নবী বিদায় বেলায় বলে গিয়েছিলেন, মূর্তি ও অগ্নিপূজকদের যেন আরব থেকে বের করে দেয়া হয়। নবীর সেই শেষ আদেশ পালন করেছিলো মুসলমানদের দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমর। তিনি সবাইকে বের করে দিলেও আবু লুলু নামক  এক মূর্তিপূজককে রেখেছিলেন তার অস্ত্র তৈরীর জন্য। কিন্তু অতি দুঃখের বিষয়, ঐ আবু লুলু-ই শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় খলিফাকে হত্যা করে।  ইতিহাস পূনরাবৃত্তি হবে এটাই স্বাভাবিক, কিন্তু মুসলমানরা সেটা থেকে শিক্ষা নেবে কি না, সেটা কথা।

=========

মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৬

ডান হাতে লাল সূতা বাধা থাকলে যা বুঝতে হবে

যদি দেখেন ডান হাতে লাল সূতা বাধা
বুঝবেন এরা উগ্রহিন্দুত্ববাদী দলের সদস্য, যারা মূল নিয়ন্ত্রণ ভারতের বিজেপি হয়ে আমেরিকা পর্যন্ত পৌছেছে। তাই আপনার আশেপাশের হিন্দু, কাছের বন্ধু-বান্ধব কিংবা প্রতিবেশী হোক, লিস্ট করে রাখুন কার কার ডান হাতে লাল সূতা বাধা আছে। একই সাথে খেয়াল রাখুন তার সার্বিক কর্মকাণ্ডে। নিশ্চিত থাকুন, ডান হাতে লাল সূতা বাধা হিন্দুটি মুসলিম ও বাংলাদেশ বিরোধী গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।

রবিবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৬

রিলেশন ব্রেক-আপে ছেলেদের উপর কতটা প্রভাব পড়ে !

আমাদের একটা চিরাচরিত ধারণা আছে যে, সম্পর্ক ভাঙার প্রভাব বুঝি মেয়েদের উপরেই সবথেকে বেশি পড়ে। তারাই বুঝি বেশি দুঃখ পায়। কিন্তু এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। একইরকম প্রভাব পড়ে ছেলেদের উপরেও। সম্পর্ক ভাঙার যন্ত্রণা যতটা একটা মেয়ে পায়, ঠিক ততটাই পায় ছেলেরাও।

একটা সম্পর্ক ভাঙার প্রভাব ছেলেদের মধ্যে ঠিক কতটা পড়ে, তা আমরা শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের 'দেবদাস' গল্পেই দেখেছি। শুধু তাই নয়, সমীক্ষাও এমনই প্রমাণ দিচ্ছে।

ওয়েক ফরেস্ট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক রবিন সিমন এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন যে, একটা সম্পর্ক থেকে মেয়েদের তুলনায় ছেলেরা অনেক বেশি লাভবান হয়। তাই যখন সম্পর্ক ভেঙে যায়, তখন সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ তারাই হয়।

সম্পর্ক ভাঙার ফলে কি কি প্রভাব পড়ে ছেলেদের উপর:

১) সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে, ছেলেরা সম্পর্কের ক্ষেত্রে অনেক বেশি হিসেবি হয়। তারা ভালো এবং খারাপ দুটো দিকই বিচার করে। তাই যখন সম্পর্ক ভেঙে যায়, আর মেয়েটি ছেলেটিকে ছেড়ে এগিয়ে যায়, তখন সেটা তাদের কাছে পরাজয়ের মতো মনে হয়। তাদের অহংয়ে আঘাত লাগে।

২) বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে, মেয়েরা তাদের আবেগ অনুভূতির কথা অন্যের সঙ্গে শেয়ার করতে পারে। কিন্তু ছেলেরা পরিবার কিংবা বন্ধুদের কাছে সবসময় তাদের আবেগ শেয়ার করতে পারে না। প্রচলিত আছে যে, হৃদয় নাকি মেয়েদেরই বেশি ভাঙে। কিন্তু দেখা গিয়েছে, ছেলেরা অনেক বেশি আঘাত পায় মেয়েদের তুলনায়। তার কিছু কিছু লক্ষণ হল, ঠিক মতো না খাওয়া, অতিরিক্ত রেগে যাওয়া, অতিরিক্ত কাজ করা, না ঘুমনো, নেশায় আসক্ত হয়ে পড়া ইত্যাদি।