সোমবার, ২৮ অক্টোবর, ২০১৯

ডার্ক রেস্টুরেন্টের নামে সেক্স রেস্টুরেন্ট চট্টগ্রামে

চট্রগ্রামে ডার্ক রেস্টুরেন্ট নামে কিছু জায়গা আছে, যেখানে স্কুল কলেজের বাচ্চা ছেলে-মেয়েরা গিয়ে সেক্স করে। কিস বা হাগ না, ডাইরেক্ট সেক্স। যারা করে তাদের বেশিরভাগ ভার্সিটি লেভেলেও যায়নি, স্কুল-কলেজের ছাত্রী। এরা হিজাব পড়ে ঢুকে, সেক্স করে বেরোয়।

কিছুদিন আগে আমি এটা জেনে অবাক হই। ৪ দিন আগে প্রথমবারের মত কিছু রেস্টুরেন্টে নিজের চোখে প্রমাণ দেখে আসি। অনেক স্কুল পড়ুয়া মেয়েদের সরাসরি সেক্স করা অবস্থায় পাই। বয়স্ক লোকের সাথে সেক্স করতে দেখে মহসিন কলেজের একটা মেয়ের বাসায় কল করে তার আম্মুকে সাবধান করে দেই। পরে এই ঘটনা বন্ধ করার জন্যে উচ্চপদস্থ একজন পুলিশের সাথেও যোগাযোগ করি।

গতকাল যা ঘটেছিল, কোন প্ল্যান ছাড়াই।
বের হয়েছিলাম, নিউ মার্কেট যাবো। হঠাৎ ছোট্ট একটা মেয়েকে হিজাব নিকাব পড়া অবস্থায় সেই ডার্ক রেস্টুরেন্টের সামনে দেখি। আমার সাথে থাকা বন্ধুটি বলে, এই মেয়ে সেক্স করতে আসছে। আমি বিশ্বাসই করি নাই।

আমি বলিঃ এত ছোট একটা মেয়ে! হিজাব-নিকাব পড়া, এগুলা করবে না।
কিন্ত একটু পর যখন দেখি মেয়েটা আসলেই একটা ছেলের সাথে সেখানে যাচ্ছে আমার বন্ধুটি হঠাৎ রাগ সামলাতে না পেরে বাধা দিতে যায়। ২টা রেস্টুরেন্টের মধ্যে কমপক্ষে ১০ জোড়া ছাত্র-ছাত্রীকে সেক্স করা অবস্থায় পাই আমরা। সম্পুর্ন বিবস্ত্র, পাশে বোরকা-হিজাব। নীচে পড়ে আছে কন্ডম। অন্ধকার জায়গায় চারিদিক ঘেরা দিয়ে ছোট ছোট স্পেসে অপেন সেক্সের ব্যবসা চলছে। এগুলা আবাসিক হোটেল না, রেস্টুরেন্টের নামে তরুণ প্রজন্মকে সহজে সেক্সে উৎসাহিত করার কৌশল। অথচ, এই সমাজেই আপনাদের ছোট বোনরাও থাকে। কোচিং ফাকি দিয়ে প্রেম না, ডাইরেক্ট সেক্স করতে চলে আসে!

এরপরেই আমরা বাধার সম্মুখীন হই। নীচে মানুষ জমে গেছে, বোরকা পড়া মেয়েরা পালাচ্ছে। পুলিশকে ডেকে ঘটনা জানাই। পুলিশ মাত্র ১ জন। হঠাৎ কিছু বুঝার আগেই ডার্ক রেস্টুরেন্টের কর্মচারীরা ৪/৫ জন এক হয়ে মারতে শুরু করে আমাদের। আমাদের চোর, চাদাবাজ বলে মারতেছে, সাধারণ মানুষ কিছু বাধা দিলেও পেটে বুকে প্রচন্ড ঘুষি খাই। আমার বন্ধুটি দোকানে ঢুকে যায়। সাথে সাথে কলাপসিবল গেট আটকে দেয় অন্যরা। এরমধ্যে ডার্ক রেস্টুরেন্টকে শেল্টার দেয়া কিছু সন্ত্রাসী এক হয়ে গণধোলাইয়ের আয়োজন করে ফেলছিল। আমি একা হয়ে যাই। বারবার পুলিশের সামনেই আমাকে ছিনিয়ে নিয়ে মারার চেষ্টা করে তারা। এরপর থানার ওসি চলে আসে এবং আল্লাহর রহমতে অল্পের জন্যে প্রাণে বেচে যাই। আমাকে পুলিশের গাড়িতে করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। আশেপাশে বহু সাধারণ মানুষ ছিল, কেউ কিছু বলেনি। হয়তো সন্ত্রাসীদের ভয়েই। এভাবেই তো চলছে দেশ..

থানায় নেয়ার পর শুরু হয় অন্য রাজনীতি। আমাকে চিনে যায় অনেকে। কোটা সংস্কার আন্দোলন করেছিস বলে গালাগালি শুরু হয়। খবর পেয়ে বিভিন্ন গ্রুপ চলে আসে৷ তাদের অনেকদিনের ক্ষোভ আমার উপর। মানুষের ঘৃণ্য রুপ দেখে বাকরুদ্ধ হই, সেসব প্রকাশ করারও রুচি নাই। নির্দোষ জেনেও সবাই একসাথে গালি দিচ্ছে। “কোটা আন্দোলন করিস, তোকে তো থানায় না এনে পিটিয়ে মেরে ফেলা উচিত ছিল।”  আমি একা আর সবাই মিলে আমাকে ফাসানোর অনেক চেষ্টা করে৷

IIUC ছাত্রলীগের নাম বেচা গুন্ডাগুলা এই সুযোগ কেন ছাড়বে? তারা তাদের পেইজে অপপ্রচার চালায়, “ডিবি পরিচয়ে চাদাবাজি করার সময় কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা মুনতাসির গ্রেফতার!”
দ্রুত তারা থানায় চলে আসে। ঘৃণ্য অনেক খেলা চলে সেখানে। আমার জন্যে যারা গিয়েছিল তাদেরকে মেরে তাড়িয়ে দেয় ছাত্রলীগের পোলাপান। চট্রগ্রামের কোটা সংস্কার আন্দোলনের অনেকের মোবাইল চেক করে, গালি দিয়ে থানার সামনে থেকে সরিয়ে দেয় আমার ক্যাম্পাসের কথিত ছাত্রলীগ নেতারা। কিন্ত কেন ??
তারা নাকি আমাকে বাচাতে আসছে! আমি যেখানে কোন অপরাধই করি নাই, সেখানে তারা কিভাবে বাচাবে আর ১ জন চাদাবাজকে বাচাতে আসার কি কারণ থাকতে পারে, যার বিরুদ্ধে একটু আগেই তারা পোস্ট দিছে! যদিও সেই পোস্ট পরে ডিলেট করে দেয়। সেই গল্প পরের পর্বে আসছে..


উল্লেখ্য, এটি জনপ্রিয় ইউটিবার মুনতাসির মাহমুদ এর ফেইসবুক পেইজ থেকে নওয়া, পরবর্তী পর্ব আসছে,,,,  

স্ত্রী সন্তান নিয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ পলাশের।


লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে স্ত্রী ও ৩ ছেলে-মেয়েকে নিয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন পলাশ কুরি (৩২)। পলাশের বর্তমান নাম আবদুর রহমান। তিনি উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়নের শ্রীরামপুর বাড়ির বাসিন্দা। স্বপরিবারে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করায় তাদের জন্য উপজেলার বিভিন্ন মসজিদে দোয়া করা হয়। আবদুর রহমান স্বপরিবারে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করায় উপজেলার পদ্মা ইলেক্ট্রনিক্সের মালিক আনোয়ার তাদের থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এছাড়া রামগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জহির উদ্দিন জীবকা অর্জনের জন্য আবদুর রহমানকে একটি ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) লক্ষ্মীপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এফিডেভিটের মাধ্যমে পলাশ স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। ইসলাম গ্রহণকারী বাকিরা হলেন- পলাশের স্ত্রী শিখা রানী কুরি, মেয়ে অন্বেষা রানী কুরি, উর্সি রানী কুরি ও ছেলে আবির চন্দ্র কুরি। ধর্ম পরিবর্তন হওয়ার পরে তাদের বর্তমান নাম হচ্ছে আবদুর রহমান, তার স্ত্রী সুমাইয়া বেগম, মেয়ে আয়েশা আক্তার, খাদিজা আক্তার ও ছেলে মো. ইব্রাহিম। জানতে চাইলে আবদুর রহমান জানান, বুঝ-জ্ঞান হওয়ার পর থেকেই ইসলাম ধর্মের প্রতি তিনি দুর্বল ছিলেন। বিয়ে করে সংসার জীবন ভালোই চলছে। তার সংসারে দুই-মেয়ে ও এক ছেলে আছে। সম্প্রতি তিনি তার ইসলাম ধর্ম গ্রহণের ইচ্ছাটি স্ত্রীকে জানান। বিষয়টি জানার পর তার স্ত্রী তাকে অনুপ্রাণিত করেন। এরপর তিনি অনেকদিন ধরে মুসলমানদের রীতিনীতি পর্যালোচনা করেছেন। মহান আল্লাহ এবং সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ) এর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছেন। সেই বিশ্বাস থেকেই গত বৃহস্পতিবার তিনি স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।

এ ব্যাপারে রামগঞ্জ উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদ উল্যাহ জানান, কিছুদিন আগে আবদুর রহমান ইসলাম ধর্মের বিষয়টি তাকে জানান। বিষয়টি শুনে তিনি আবদুর রহমানকে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেন। তিনি স্বপরিবারে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। তার ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়াসহ সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।